কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের নাজিরারটেক পয়েন্ট থেকে ভেসে আসা একটি ট্রলার থেকে অন্তত ১০ জনের লাশ উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
রোববার বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া উপকূল থেকে অর্ধগলিত লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।
তবে ভেতরে আরো লাশ রয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম।
কক্সবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডস্থ সাগরের নাজিরারটেক পয়েন্টে বোটটির বর্তমান অবস্থান। লাশগুলো উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকতার কামাল জানিয়েছেন, কক্সবাজারের স্থানীয় ছেলেরা বঙ্গোপসাগরের গভীর এলাকায় ওই ফিশিং বোটটি দেখতে পায়। তারা শনিবার ঈদের দিন রাতে ফিশিং বোটটি টেনে নাজিরা টেক পয়েন্টে নিয়ে আসে। সেখানে এনে বোটের ভেতর তারা গলিত বেশ কয়েকটি লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, জেলেদের থেকে খবর পেয়ে শনিবার রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে বোটটি দেখেন এবং সেখানে কয়েকটি লাশ শনাক্ত করেন। রোববার সকালের দিকে ফায়ার সার্ভিসের দলকে সাথে নিয়ে এসব লাশ উদ্ধারে যায় পুলিশ। সকাল থেকে চেষ্টা করে ফিশিং বোটটি উপকূলের কাছে এনে দুপুরের পর থেকে লাশগুলো উদ্ধার শুরু করা হয়।
মোঃ রফিকুল ইসলাম আরো জানান, মাছ ধরার ফিশিং ট্রলারের কোলেস্টেরলজের ভেতরে থাকা লাশগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১০টি উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিগুলো উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশ উপায় সার্ভিস।
কী কারণে এ ঘটনা, তা বিস্তারিত জানাতে পারেনি ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশের এই কর্মকর্তা। তবে তিনি বলছেন, লাশগুলো উদ্ধার করার পর বিস্তারিত জানানো হবে।
১৫-১৬ দিন আগে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া পয়েন্টে ডাকাতি করতে গিয়ে একদল জলদস্যু জেলেদের হামলার শিকার হয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছিল স্থানীয়দের মাধ্যমে। হামলায় জলদস্যুরা মারা পড়েছিল বলে খবর বেরিয়েছিল। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত ওই দস্যুবাহিনীর বোটটির হাদিস পাওয়া যায়নি। সে জলদস্যুবাহিনীর সদস্যরা মহেশখালী চকরিয়া ও বাঁশখালীর বলেও জানা গিয়েছিল।
ধারণা করা হচ্ছে, নাজিরারটেক পয়েন্টে ভেসে আসা বোটটি সেই বোট হতে পারে। তাই নাজিরটেক বোট আসার খবর পেয়ে নিখোঁজদের স্বজনরা সকাল থেকে নাজিরটেক এসে ভিড় করছেন। ওই ফিসিং বোটের ভেতর ১৪-১৫টি পর্যন্ত লাশ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।