নিহতরা হলেন- ছাতকের জাউয়াবাজার ইউনিয়নের দেবেরগাঁও গ্রামের হোসাম মিয়ার ছেলে মহিম মিয়া (১৩), বড়কাপন গ্রামের আরশ আলী (৬০) ও চরমহল্লা ইউনিয়নের চরদুর্লভ গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে আব্দুস সামাদ (৪৫)। সুনামগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (ছাতক-দোয়ারা সার্কেল) রঞ্জয় চন্দ্র মল্লিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অনেকটা একই সময়ে দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর এলাকার চৌদ্দকুড়ি হাওর ও কালাদেউরা হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে আরও দুই কৃষকের প্রাণহানি ঘটে। তারা হলেন- উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের রণভূমি গ্রামের কৃষক তারা মিয়া ও মিলন মিয়া।
তাহিরপুরেও একটি হাওরে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে রমজান মিয়া নামের আরেক কৃষকের প্রাণহানি ঘটে। এ সময় একজন আহত হন। নিহত কৃষক রমজান মিয়া (১৬) উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়ন কুকুরকান্দি গ্রামের হাছন আলীর ছেলে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানান, সকাল ১০টার দিকে শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের লালবাগে মাঠে ধান কাটার সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থালে মৃত্যু হয় রিয়াজ উদ্দিনের। এ ঘটনায় হায়দার মিয়া নামের এক ব্যক্তি আহত হয়। এছাড়া কমলগঞ্জের তিলকপুর এলাকায় মাঠে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে সম্য শব্দকর নামের এক কৃষক মারা যায়। এ ঘটনায় তার একটি গরু মারা যায়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল আলম জানান, সকালে জমিতে ধান কাটতে যান আনছার আলী। বজ্রপাত হলে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।