বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাসের সঙ্গে যৌথভাবে ৫০ বছরের বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক অংশীদারিত্ব উপলক্ষে আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তারা প্রদর্শনীর কিছু অংশ ঘুরে দেখেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি আশা করি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার জন্য আমাদের উৎসাহব্যঞ্জক যাত্রায় বিশ্বব্যাংক আমাদের সঙ্গে থাকবে। আসুন আমরা একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য যৌথ আস্থার চেতনায় একসঙ্গে কাজ করি।
প্রধানমন্ত্রী একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করার জন্য বিশ্বব্যাংক এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আমাদের অভিন্ন শত্রু হচ্ছে দারিদ্র্য ও ক্ষুধা এবং আমরা এগুলো কাটিয়ে না ওঠা পর্যন্ত বিশ্রাম নেব না।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি মনে করেন-এ ফটো প্রদর্শনী একসঙ্গে কী অর্জিত হয়েছে এবং কী কাজ রয়ে গেছে তা স্মরণ করিয়ে দেবে। প্রদর্শনীটি সঠিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার গুরুত্বও তুলে ধরেছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুস্থ মানুষের মধ্যে যে ধরনের হাসি দেখতে চেয়েছিলেন এ প্রদর্শনীতে তা প্রতিফলিত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের পিছিয়ে থাকা লোকদের উন্নয়নের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। এটি বাংলাদেশকে একটি সহনশীল ও সমৃদ্ধ ভূমিতে পরিণত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সংকল্পের প্রতিফলন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের সদর দফতরে পৌঁছালে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক এবং তার এসএআর ভিপি মার্টিন রাইসার ফুলের তোড়া দিয়ে তাকে স্বাগত জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী একটি নাচের অনুষ্ঠানও প্রত্যক্ষ করেন।
পরে সেখানে প্রধানমন্ত্রী একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়।