পেট্রোবাংলা ও বাপেক্স জানায়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মেঘনা নদীর তীরে শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার কুচাইপট্টি থেকে খুলনা পর্যন্ত বিশাল এলাকাজুড়ে দ্বিমাত্রিক ভূকম্প জরিপ (টুডি সিসমিক সার্ভে) করা হয়। ওই জরিপে নড়িয়া উপজেলার চামটা ইউনিয়নের দিনারা গ্রামের ভূগর্ভে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়ার পর ২০২২ সালের নভেম্বরে কূপ খননের কাজ শুরু হয়েছিল। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত খনন প্রকল্পের মেয়াদ ছিল। খননের জন্য জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ৬.৪৯ একর জমির হুকুম দখল নেওয়া হয়। ওই জমিতে থাকা ফসলের দু’বছরের ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়।
তবে মেয়াদকাল ফুরানোর আগেই গ্যাস কূপ খননের কাজ সমাপ্ত হয়ে যায়। সেখানে মাটি ও বিভিন্ন পদার্থের টেস্ট করেও গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাই শরীয়তপুর তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন প্রকল্প-১ এর সব কর্মকর্তা কর্মচারী এ স্টেশন থেকে সব ধরনের খনন যন্ত্র নিয়ে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, খননের সেই কর্মযজ্ঞ এখন আর নেই। অধিকাংশ যন্ত্রপাতি নিয়ে চলে যাচ্ছেন অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী। সবাই ছুটছেন নোয়াখালীর আরেকটি গ্যাসের কূপ খনন করতে। গ্যাস না পাওয়ার খবরে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করতে দেখা গেছে।
বাপেক্স মহাপরিচালক ও শরীয়তপুর তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন প্রকল্প-১ এর অ্যাডমিন নুর ইসলাম বলেন, এ বিষয় বেশি কিছু জানি না। ৩ হাজার ৩০০ ফুট গভীর খনন করে এবং বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েও গ্যাসের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাই এখন নোয়াখালী কূপ খননের স্টেশনে যাব।
প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. তোফায়েল উদ্দিন সিকদার বলেন, অনুসন্ধান করেও এখানে গ্যাসের কোনো মজুত পায়নি। এখানে গ্যাস সাপ্লাই দেওয়ার মতো কোনো জায়গা নেই। তাই এখানকার খনন যন্ত্রগুলো নিয়ে নোয়াখালী সুন্দরপুর-৩ প্রকল্পে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
বাপেক্সের প্রজেক্ট ডিরেক্টর (পিডি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, এখানে কোনো গ্যাসের মজুত নেই। তবে রিভিজিট করব। তখন এ ব্যাপারে বলা যাবে।