শরীয়তপুরকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করতে কাজ করে যাচ্ছি, উপ-মন্ত্রী এনামুল হক শামীম

লেখক:
প্রকাশ: মে ৪, ২০২৩

জাজিরা সময় অনলাইন ডেস্ক

পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ দিয়েছেন। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তার নেতৃত্বে শরীয়তপুরেও ব্যাপক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ হচ্ছে। আমরা তিন সংসদ সদস্য (এনামুল হক শামীম, ইকবাল হোসেন অপু ও নাহিম রাজ্জাক) শরীয়তপুরকে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট জেলায় পরিণত করতে কাজ  যাচ্ছি। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার (২ মে) রাজধানীর পানি ভবনের নিজ কার্যালয়ে শরীয়তপুর সমিতি, ঢাকার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার পদ্মা সেতু হয়েছে। আর এ সেতু হওয়ায় শরীয়তপুরের গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে। ৪ বছর আগেও নড়িয়ায় নদীভাঙন ছিলো৷ হাজার হাজার মানুষ ভিটেমাটি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদৌলতে  এখন আর নড়িয়ায় নদী ভাঙন নেই। ভাঙন কবলিত নড়িয়ার  এখন পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে৷ জয়বাংলা এভিনিউ হয়েছে। এছাড়াও পদ্মার দূর্গম চর চরআত্রা, নওপাড়া ও কাঁচিকাটা বিদ্যুৎ সেবা পৌছে দেয়া হয়েছে। সেখানেও ভাঙনরোধে প্রকল্প চলমান রয়েছে। ভেদরগঞ্জ, গোসাইরহাটের প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। পদ্মা সেতুর জিরো পয়েন্ট থেকে জাজিরার বিলামপুর পর্যন্ত ১১৭৩ কোটি টাকার প্রকল্পও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নড়িয়া থেকে শুরু করে জেলা সদর হয়ে মাদারীপুর জেলার কালকিনি পর্যন্ত কীর্তিনাশা নদীর দুই রক্ষা প্রকল্প এগিয়ে চলছে। আমরা শরীয়তপুরকে বাংলাদেশের মধ্যে একটি অন্যতম উন্নত সমৃদ্ধ  জেলায় রূপান্তরিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। পদ্মা সেতুর পর এখন মেঘনা সেতু হবে। সেই লক্ষ্যে ইতিপূর্বে মেঘনা সেতুর সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ শেষ হয়ে ছে। পদ্মা সেতুর পর মেঘনা সেতু নির্মিত হলে শরীয়তপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা হিসেবে পরিণত হবে। ইতিমধ্যেই শরীয়তপুরে  শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা। শরীয়তপুরে একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থাকার পরে নড়িয়ায় আরও একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অনুমোদন দিয়েছেন সরকার।  শরীয়তপুরে  ফোর  লেনের কাজও এগিয়ে চলছে। শরীয়তপুরের জাজিরার কৃষিপন্য ইউরোপ রপ্তানি শুরু হয়েছে।  জেলার সকল ননএমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত করা হয়েছে। সকল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানগুলোতে সীমান প্রচীর নির্মান করা হয়েছে। নড়িয়ায় একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থাকার পরেও আরেকটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মান করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) নির্বাচনী এলাকায়ই সাড়ে ৫ হাজার ডিপটিউবয়েল প্রদান করা হয়েছে।
শরীয়তপুরের হাজার হাজার ভূমিহীন ও গৃহহীনকে জমিসহ ঘর প্রদান করা হয়েছে। ঢেউটিন বিতরণ করা হয়েছে। বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা সহ সরকারের সুবিধা জনগণকে শতভাগ প্রদান করা হচ্ছে। শরীয়তপুরের উন্নয়নর যা যা করণীয় তাই করা হচ্ছে।
উপ-মন্ত্রী বলেন, শরীয়তপুর তথা সারাদেশের এত উন্নয়ন কর্মকান্ডের মূলে রয়েছেন জননেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তিনিই একমাত্র রাষ্ট্রপ্রধান বা রাজনীতিবিদ যিনি পরবর্তী নির্বাচন নয়, পরবর্তী প্রজন্ম নিয়ে ভাবেন। আগামীদিনের বিশ্বমানের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে জননেত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তাই আগামী নির্বাচনেও এদেশের জনগণ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা আনবে। আর আমার বিশ্বাস শরীয়তপুরের মানুষ কখনো বঙ্গবন্ধু, মহান মুক্তিযুদ্ধ,  বাংলাদেশ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রশ্নে কখনো আপোস করে নাই, আগামীতেও করবে না।
এসময় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, শরীয়তপুর সমিতি, ঢাকার সভাপতি আনিসউদ্দীন মিঞা, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার প্রমূখ।
পরে শরীয়তপুর সমিতির এক যুগপূর্তি উপলক্ষে  “এক যুগ পূর্তিতে আমাদের শরীয়তপুর” শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন উপমন্ত্রী।

About The Author