গ্রেপ্তাররা হলেন, রুদ্রকর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য মিজান ঢালী (৪৪), জুয়েল ফরাজী (২৬), সুমন বয়াতি (২১), ইয়াসিন বয়াতি, শাহিন সরদার , খোকন সরদার ও রাসেল সরদার।
জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই তরুণী রাজধানীর একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। চাচাতো বোনের বিয়ে উপলক্ষে সদর উপজেলার দক্ষিণ চরসুন্ধি গ্রামের নিজ বাড়িতে বেড়াতে আসেন। শুক্রবার রাতে জুয়েল ফরাজী ও সুমন বয়াতি নামে দুই যুবক ওই তরুণীকে বাড়ির উঠান থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে জুয়েল ফরাজী ও তার সহযোগীরা ফাতেমা বেগম নামে তার এক বোনের বাড়িতে ওই তরুণীকে আটকে রেখে জোরপূর্বক সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এ সময় ভুক্তভোগীকে মারধরও করা হয়। এ ঘটনায় পালং মডেল থানায় ভুক্তভোগীর বাবা স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ ৭ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, জুয়েল ফরাজী প্রায়শই আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতো। বাধ্য হয়ে মেয়েকে ঢাকায় পাঠিয়ে দিই। তারপরও মেয়েকে রক্ষা করতে পারলাম না। জুয়েল ও তার সহযোগীরা আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে তার বোনের বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে। এ সময় আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে আমার মেয়েকে হুমকি দেয়। পরে আমার মেয়ের চিৎকারে আশেপাশের মানুষ ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়।
পালং মডেল থানা ওসি আক্তার হোসেন বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় ইউপি সদস্যসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।