শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ আইনজীবীদের কল্যাণ তহবিলের ১ কোটি ৯২ লাখ টাকা আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে আইনজীবীদের দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২৮ মে) দুপুরে আইনজীবী সমিতির সামনে মানববন্ধনে এ ঘটনা ঘটে।
সাধারণ আইনজীবীদের অভিযোগ, শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি মো. আবু সাঈদ ও সাবেক সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম আইনীজীবীদের কল্যাণ তহবিলের লাভসহ এফডিআরের ১ কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে তুলে আত্মসাৎ করেছেন। তাই সম্প্রতি দুজনের চেম্বার বরাদ্দ বাতিল ও সদস্যপদ স্থগিত করে জেলা আইনজীবী সমিতি। ইতিমধ্যে আত্মসাৎ করা টাকার মধ্যে আবু সাঈদ ৪০ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম হাইকোর্টে আপিল করলে, কোর্ট তার চেম্বার বরাদ্দ বাতিল ও সদস্যপদ স্থগিত করে।
অ্যাডভোকেট মুরাদ মুন্সী, অ্যাডভোকেট জামাল ভূইয়া, অ্যাডভোকেট মো. হানিফ মিয়াসহ সাধারণ আইনজীবীরা বলেন, আবু সাঈদ ও জহিরুল আইনীজীবীদের কল্যাণ তহবিলের লাভসহ এফডিআরের ১ কোটি ৯২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আমরা আইনজীবীরা এখন নিঃস্ব। আমরা দ্রুত আত্মসাতের টাকা ফেরত চাই। তা না হলে তারা হাইকোর্টে যাব।
শরীয়তপুর আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অভিযুক্ত অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম বলেন, আবু সাঈদ স্টেটমেন্ট দিয়েছে টাকাটা তিনি নিয়েছেন। তারপরও আমাকে সামাজিক হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য, আমি একটি দল করি দলকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য আজ রোববার মানববন্ধন করা হয়েছে। আসলে টাকা আত্মসাতের সঙ্গে আমি জড়িত না।
এ ব্যাপারে শরীয়তপুর আইনজীবী সমিতি সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. তাজুল ইসলাম বলেন, টাকা ফেরত পাওয়ার জন্যই আজ মানববন্ধন করা হয়েছে। গুটিকয়েক আইনজীবী বলছে, কেন আমরা দাওয়াত পেলাম না। তাই মানববন্ধনে হট্টগোল হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আইনজীবী সমিতির কল্যাণ তহবিলের এফডিআরের লভ্যাংশসহ ১ কোটি ৯২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এ সকল টাকা আত্মসাৎ করা হয়। ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পরে বিষয়টি নিয়ে সাধারণ সভায় আলোচনা হয়। সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত তারা দুজন হয় শরীয়তপুরের কোনো আদালতে আইন পেশায় নিয়োজিত হতে পারবেন না। পাশাপাশি তাদের চেম্বার বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে ও সদস্য পদ স্থগিত করা হয়।