বিশালদেহী ‘রাজাবাবু’। ৪০ মণ (১৬০০ কেজি) ওজনের এই গরুটিকে আসন্ন কোরবানির ঈদে বিক্রি করা হবে। মালিক এর দাম হাঁকছেন ২০ লাখ টাকা।
গরুটির মালিক লালচান মাদবর শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মিরাশা গ্রামের মৃত আঃ গনী মাদবরের ছেলে। তার খামারে ছোট-বড় মিলিয়ে ১০টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে দৃষ্টি কেড়েছে বিশালদেহী ‘রাজাবাবু। লালচান মাদবর জানালেন, বংশ পরম্পরায় তারা গরু লালনপালন করেন। প্রায় দেড় বছর আগে পাবনার ঈশ্বরদী পশুরহাট থেকে তিনি দেড় বছর বয়সী একটি বাছুর ১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় কেনেন। এরপর গত দেড় বছর ধরে তিনি এটিকে লালনপালন করছেন।
গরুটির নাম দিয়েছেন ‘রাজাবাবু’। তিনি জানান, প্রতিদিন এর খাদ্য তালিকায় থাকে খড়-বিচুলি, ঘাস, ভুসি, চালের কুড়া, খৈল, ভুট্টা, ছোলা, খেসারির গুঁড়া এবং লবণ। এর বাইরে অন্য কোনো খাবার তিনি খাওয়ান না। গরমের জন্য গোয়ালঘরে ফ্যানও লাগানো আছে। সকাল থেকে রাত অবধি গরুর দেখাশোনা ও যত্ন করতে হয়। এই খামারি আরো জানান, রাজাবাবুর ওজন প্রায় ৪০ মণ। এবারের কোরবানি ঈদে তিনি এটি বিক্রি করবেন। দাম নির্ধারণ করেছেন ২০ লাখ টাকা। যদিও কয়েকজন ১২লাখ টাকা দাম বলে গেছেন। বাবার সঙ্গে গরুর দেখাশোনা করেন লালচান মাববরের ছেলে আবুবকর ।
তিনি জানান, রাজাবাবু তাদের খুব প্রিয়। প্রায় দেড় বছর ধরে গরুটি লালনপালন করেছেন। বিশালদেহী গরুটি সামলে রাখা খুবই কষ্টকর। অনেক পরিশ্রম করে তারা এটি বড় করেছেন। এই অঞ্চলে এত বড় গরু আর নেই। এজন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন তাদের গরু দেখতে আসেন। গরু দেখতে আসা একই এলাকার বাসিন্দা মাস্টার এনামূল চৌকিদার জানান, এই গরুর কথা শুনে তিনি দেখতে এসেছেন। এত বড় গরু এর আগে জাজিরায় দেখেননি।
দেখে খুব ভালো লাগছে। তিনি আশাবাদী তারা এই গরুটির ন্যায্য মুল্য পাবে। লালচান মাদবরের ফ্রিজিয়ান ক্রস জাতের গরুটি অনেক বড়। গরুর দৈর্ঘ্য এবং বুকের পরিধি মেপে সম্ভাব্য ওজনের যে হিসাব করা হয়; সে অনুযায়ী গরুটির ওজন ১ হাজার ৬০০ কেজির মতো। গরুটি এবার কোরবানিতে তিনি বিক্রি করতে চান। আশা করছি, ভালো দামে গরুটি বিক্রি হবে।