শরীয়তপুরে ধর্ষণ ও হত্যায় ১ জনের ফাঁসি, ৩ জনের যাবজ্জীবন

লেখক:
প্রকাশ: জুন ৭, ২০২৩

২০২০ সালের ২১ অক্টোবর মেয়েটিকে তার ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে; পরে তিন সহযোগী ধর্ষণের চেষ্টা করে; তখন সে চিৎকার করলে সবাই মিলে হত্যার পর লাশ খালে ফেলে দেয়।

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে প্রেমিকের ফাঁসির রায় হয়েছে; এছাড়া আরও তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে।

বুধবার শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচার স্বপন কুমার সরকার এই রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন ডামুড্যা উপজেলার বড় নওগাঁ গ্রামের বাবু চৌকিদার (২৫)।

যাবজ্জীবন দণ্ডিতরা হলেন একই গ্রামের জুয়েল খান (১৯), ফারুক সরদার (২৪) ও চরভয়রা গ্রামের তানভীর হোসেন শামীম (২৪)।

আসামিদের এই দণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা করে  অর্থদণ্ডও করা হয়েছে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ডামুড্যা উপজেলার কুলকুরি গ্রামের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বাবু চৌকিদারের। এক পর্যায়ে মেয়েটি বাবুকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়।

২০২০ সালের ২১ অক্টোবর সন্ধ্যায় বাবু চৌকিদার মেয়েটিকে ফোন করে বাড়ির পাশের বাগানে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে বাবুর সহযোগী জুয়েল খান, ফারুক সরদার ও তানভীর হোসেন শামীম মিলে মেয়েটিকে দরবেঁধে ধর্ষণ করতে চাইলে সে চিৎকার দেয়।

পরে তারা সবাই মিলে মেয়েটিকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ খালে ফেলে দেয়।

পরদিন সকালে বাড়ি থেকে ১শ গজ দূরে খালের মধ্যে থেকে হাত-পা, ও মুখ বাঁধা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফিরোজ আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় ওই দিনই মেয়েটির বাবা ডামুড্যা থানায় মামলা করেছেন। মামলার পরপরই পুলিশ বাবু চৌকিদার,  জুয়েল খান, ফারুক সরদার ও তানভীর হোসেন শামীমকে গ্রেপ্তার করে।

এদের মধ্যে তানভীর হোসেন শামীম ছাড়া বাকি তিন আসামি আদালতে জবানবন্দি দেয় বলে তিনি জানান।

আসামির আইনজীবী শাহ আলম বলেন, আসামিপক্ষ এ রায়ে সংক্ষুব্ধ। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।

About The Author