পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেছেন, ‘যারা গণতন্ত্রকে হরণ করেছিল, পেছনের দরজা দিয়ে যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারাই আজকে গণতন্ত্রের ছবক দেন। এটা আমাদের জন দুর্ভাগ্য। কারফিউ গণতন্ত্র আর দেশে ফিরে আসবে না। জনগণ ক্ষমতার মালিক, জনগণের মতামতের ভিত্তিতে সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। উন্নয়ন-অর্জনে আবারও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।’
আজ বৃহস্প্রতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তথাকথিত কিছু সুশীল বাবু। এরা কারা? দেশবাসী তাদের ভালো করেই চেনেন। যারা গণতন্ত্রের কথা বলে অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আনতে চায়। দেশবাসী তাদের উচিত জবাব দেবে। কীসের গণতন্ত্রের কথা বলেন তারা?’
তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনের কথা কি আমরা ভুলে গেছি। খুনি জিয়ার হ্যা-না ভোট ভুলে গেছি? মাগুরা ও ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনের কথা ভুলে গেছি? আমরা কিন্তু ভুলিনি।
দেশের মানুষ ভোলেনি। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতাকর্মীকে নির্যাতন, হামলা-মামলা দিয়ে বাড়ি ছাড়া করেছিল সেগুলো কি ভুলে গেছি? নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে পূর্ণিমা শীল, মাহিমা, রজুফাকে ধর্ষণের কথা ভুলে গেছি? পূর্ণিমার মা বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডারদের হাত জোর করে বলেছিল, আমার মেয়ে ছোট? তারা কি রেহাই দিয়েছিল? নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা, নির্যাতন ভুলে গেছি? দেশবাসী ভালো করেই সেগুলো মনে রেখেছে। জাতীয় নেতাদের নামে প্লেট চুরির মামলা পর্যন্ত করেছিল। তারা ২০১৩ সালে নির্বাচন ঠেকানোর নামে আগুন দিয়ে শত শত মানুষ হত্যা, হাজার হাজার মানুষকে অগ্নিদগ্ধ করেছিল।
বিএনপি নামক দলটি একটি সন্ত্রাসী দল। এটা আন্তর্জাতিক আদালতেও স্বীকৃত। কাজেই বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র করুক, দেশের মানুষ বিএনপিকে গ্রহণ করবে না।’
শরীয়তপুর-২ আসনের এমপি এনামুল হক শামীম বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ বঙ্গবন্ধু বীরকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে। শত ষড়যন্ত্র চক্রান্ত্রের মধ্যেও এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের মানুষের আস্থা একমাত্র বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রতি আর কারো প্রতি নয়। এতিমের টাকা মেরে খাওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা খালেদা জিয়া আর কখনো মানুষের রায় পাবে না। বাংলার মানুষ আবারও আগামী নির্বাচনে ভোট দিয়ে ৫ম বারের মতো বঙ্গবন্ধুকন্যাকে প্রধানমন্ত্রী করবে ইনশাআল্লাহ।’
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী তার দেওয়া আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শরীয়তপুরে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’ মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন করায় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
বাজেট নিয়ে আলোচনায় তিনি বলেন, ‘এবারের বাজেট সংকটে ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট। সারাবিশ্বের সংঘাত ও সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ম্যাজিক লিডারশিপের পরিচয় দিয়েছেন। এবারের বাজেট ঘোষণার মধ্য দিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখানো হয়েছে। এবারের বাজেট এক কথায় বললে বলতে হবে স্মার্ট বাজেট।’