ফরিদপুরের ভাঙ্গায় অ্যাম্বুলেন্সের গ্যাস বিস্ফোরণে চালকসহ নিহত সেই ৮ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহতরা সবাই একই পরিবারের। শনিবার (২৪ জুন) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ঢাকা-ভাঙ্গা হাইওয়ে এক্সপ্রেসের মালিগ্রাম ফ্লাইওভারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-মোছা. বিউটি বেগম (৩২), তার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান রিফাত (১১), তার মা তাসলিমা বেগম (৫০), তার বড় বোন মোছা. নাসরিন বেগম (৩৮), বড় বোনের ছেলে মো. আরিফ হোসেন (১৩), মো. হাসিব হোসেন (৮), মেয়ে মোছা. রাফসানা খাতুন (১)। তাদের বাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার কুচিয়া গ্রামে। এদিকে অ্যাম্বুলেন্স চালক মৃদুল মালো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
জানা যায়, রাজেন্দ্রপুরে কর্মরত সেনা সদস্য মাহামুদ হাসান তার শাশুড়ি তাছলিমা বেগমকে ঢাকা ইসলামিয়া হাসপাতালে হার্টের চিকিৎসা শেষে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেন। ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় যাওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সটি মালিগ্রাম ফ্লাইওভার এসে দুর্ঘটনা কবলে পড়ে।
এ সময় অ্যাম্বুলেন্সের চালক মৃদুল লাফ দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারলেও ভেতরে থাকা চার শিশু ও তিন নারী মার যান। খবর পেয়ে ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ এনে অ্যাম্বুলেন্সের ভেতর থেকে সাত জনের কঙ্কাল বের করে।
স্থানীয় হাইওয়ে পুলিশের ওসি তৈমুর আলম বলেন, অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা থেকে একই পরিবারের সাতজনকে নিয়ে ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথে দুর্ঘটনাস্থল মালিগ্রাম ফ্লাইওভার ওপরে ওঠার সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেলিংয়ে ধাক্কা খায়। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সের চতুর্দিক থেকে আগুন লেগে যায়। চালক বের হতে পারলেও বাকিরা ভেতরে আটকা পড়ে মারা যায়।