শরীয়তপুর-১ (পালং ও জাজিরা) আসনের পরপর দুই বারের সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী চার বারের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক বলেছেন, দেশ যখন উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখনই দেশী বিদেশি ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সেই ১৯৭১ সাল থেকেই পাকিস্তান আমেরিকার প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এখনো তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে।
যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা কারো কাছে মাথা নত করবেনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটিও কাউকে দেওয়া হবে না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও এদেশের জন্য শহীদ হয়েছেন তবুও দেশের সাথে বেইমানি করেনি। তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এই দেশের মানুষের অধিকার বাস্তবায়নের জন্য মৃত্যুকেও ভয় পায় না। তাই আগামী নির্বাচনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থীকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করতে হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে দেশের উন্নয়ন হয় না। ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শরীয়তপুরের উন্নয়ন হয়েছে। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশসহ পালং-জাজিরায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তাই আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকুন।
শুক্রবার ও শনিবার (৭-৮ জুলাই) জাজিরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগ গিয়ে পথ সভায় তিনি এ-সব কথা বলেন।
এসময় জেলা পরিষদের সদস্য মো. নেছার মাদবর, জাজিরা পৌরসভার সাবেক মেয়র আবুল খায়ের ফকির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তাজুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা মোশাররফ হোসেন বেপারি, সাত্তার বেপারী, জুলহাস মৃধা, জামাল শিকদার, যুবলীগ নেতা এ্যাড. লিটন, জাজিরা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হানিফ মাদবর সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও বিপুল সংখ্যক জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
বিএম মোজাম্মেল হক এর আগে সারাদিন বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে গণমানুষের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড জনসাধারণের মাঝে তুলে ধরেন। তিনি জাজিরা পৌরসভার জামাল মাদবর কান্দি গ্রামের রতন মাদবরের কুলকাখানী অনুষ্ঠানে যোগদান করেন এবং মৃত রতন মাদবরের পরিবারের খোঁজখবর নেন।
পরে সেখান থেকে তিনি চলে যান বিকেনগর কলেজ গেট। সেখানে স্থানীয় দলীয় নতুন কার্যালয় পরিদর্শন করেন এবং নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন। এরপর তিনি বিকেনগর মৃধা কান্দি যান। সেখানে সড়ক দূর্ঘটনায় আহত সাবেক চেয়ারম্যান জুলহাস মৃধার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা শিহাব মৃধার খোঁজখবর নেন। শেষে তিনি দৈনিক বাজারে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন।