হাসপাতালে অসুস্থ শিশু নাতির সেবা করতে এসে মাথায় ফ্যান (বৈদ্যুতিক পাখা) খুলে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন শিশুটির নানি। তার মাথায় ৫টি সেলাই লেগেছে বলে জানান ভুক্তভোগী।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরাতন ভবনের দোতলায় মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
আহত মর্জিনা বেগম (৫০) উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের মূলাই ব্যাপারী কান্দির বাসিন্দা আক্কাজ কাজীর স্ত্রী।
সরেজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগী ও ভর্তি থাকা রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আহত মর্জিনা বেগম বৃহস্পতিবার সকালে তার শিশু নাতিকে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। পরে চিকিৎসক তাকে ভর্তি করেন। এরপর ওয়ার্ডে সিট খালি না থাকায় ফ্লোরে বিছানা করে দেওয়া হয়। সেখানেই নাতির চিকিৎসা চলাকালে সারাদিন পাশে বসেছিলেন মর্জিনা বেগম।
এ সময় বিকেল ৫টার সময় চলন্ত ফ্যান সিলিং থেকে ছিটকে নিচে পড়ে মর্জিনা বেগমের মাথায় আঘাত লাগে। এতে মর্জিনা বেগমের মাথা ফেটে যায়। পরে আশপাশে থাকা অন্য রোগীর স্বজনরা তাকে জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। পরে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে দেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মর্জিনা বেগমের স্বামী আক্কাস কাজী বলেন, আমার স্ত্রী নাতির অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে এসেছে। এখন নিজেই রোগী হলেন। হাসপাতালের এমন অব্যবস্থাপনা খুবই ভয়ংকর। ভাগ্য ভালো আমার স্ত্রী অল্পতে বেঁচে গেছে। হাসপাতালের এমন জরাজীর্ণ অবস্থার দ্রুত সমাধান করতে কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই।
এ বিষয়ে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. মাহমুদুল হাসান বলেন, হাসপাতালে পুরাতন বিল্ডিংয়ের অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা দীর্ঘদিন যাবত রিপেয়ার করে দেখেছি কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। আজ ফ্যান চলন্ত অবস্থায় ছাদের প্লাস্টার খুলে গিয়ে রোগীর মাথার ওপর পড়েছে। রোগী এখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছে।
জানতে চাইলে শরীয়তপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবুল হাদি মোহাম্মদ শাহ্ পরান বলেন, জাজিরা হাসপাতালের ভবনটি অনেক পুরাতন এবং জরাজীর্ণ। এটি সংস্কারের জন্য আমরা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে অবগত করেছি।