শরীয়তপুরের নড়িয়া-জাজিরা কীর্তিনাশা নদীর ওপর নির্মাণাধীন ফুট ওভারব্রিজের পিলারে বাল্কহেডের ধাক্কায় ভেঙে পড়েছে মাঝের অংশ। বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এসময় একজন শ্রমিক আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বাল্কহেড চালকসহ দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এমবি নওশান এন্টারপ্রাইজ নামের বাল্কহেডটি বুধবার সকাল ৯টার দিকে নড়িয়া পদ্মা নদী থেকে কীর্তিনাশা হয়ে শরীয়তপুর সদর যাওয়ার পথে কীর্তিনাশা নদীর ওপর নির্মাণাধীন ফুট ওভারব্রিজের পিলারে ধাক্কা লাগে। এসময় ওভারব্রিজের মাঝের অংশ বাল্কহেড ওপর ভেঙে পড়ে। এ ঘটনায় ব্রিজের একজন নির্মাণ শ্রমিক আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বাল্কহেডটি জব্দসহ চালক হাসান হাওলাদার ও সোহেল কিবরিয়া নামে দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ে হেফাজতে নেওয়া হয়।
জেলা এলজিইডি জানায়, ১ কোটি ৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে গত মে মাসে ১০০ মিটার একটি ব্রিজের কাজ শুরু হয়। চলতি মাসে কাজ শেষ হয়ে চলাচলের উপযোগী হওয়ার কথা ছিল। ফুট ওভারব্রিজের দক্ষিণ পাশে নড়িয়া-জাজিরা সড়কের দীর্ঘদিন ধরে ভাষা সৈনিক গোলাম মাওলা সেতুর কাজ চলমান রয়েছে। মানুষ নদী পারাপারের জন্য চারটি ট্রলার ব্যবহার করে। মানুষের দুর্ভোগ কমানের জন্য ফুট ওভারব্রিজটি তৈরি করা হচ্ছিল।
স্থানীয়রা জাজিরা সময়কে জানান, ফুট ওভারব্রিজটি এখনো চালু হয়নি। ওভারব্রিজটি নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। তা না হলে বাল্কহেডের ধাক্কায় এভাবে নতুন ব্রিজ ভেঙে পরে নাকি? এখানে ঠিকাদার ও এলজিইডি কর্তৃপক্ষের ব্যাপক গাফিলতি রয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই।
শরীয়তপুর এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রাফেউল ইসলাম জাজিরা সময়কে বলেন, শরীয়তপুর নড়িয়া ও জাজিরা সড়কের কীর্তিনাশা নদীর ওপর ২৮ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১০৫ মিটার আরসিসি সেতু নির্মাণ কাজ করছে এলজিইডি। নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় যাত্রীরা হেটে পারাপারের সুবিধার্থে নদীর ওপর ১০০ মিটার ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ করছে কোহিনূর এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ওভারব্রিজটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৮ লক্ষ টাকা। এ মাসেই ব্রিজটি চালু হওয়ার কথা ছিল। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ব্রীজটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করতে অন্তত ৩ মাস সময় লাগতে পারে বলেন এই কর্মকর্তা।