গোসাইরহাটে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম পরিদর্শনে উপজেলা প্রশাসন

লেখক:
প্রকাশ: জুন ২১, ২০২৩

সারাদেশের মত শরীয়তপুরে ঈদ পূর্ববর্তী টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে সারা দেশে এক কোটি নিম্ম আয়ের পরিবারকে কার্ডের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে। আজ গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর ও নলমুড়ি ইউনিয়নে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় সবাই লাইন ধরে ন্যায্যমূল্যে পণ্য ক্রয় করছে। সবার হাতে সরকার প্রদত্ত  পারিবারিক কার্ড। বিক্রয় কার্যক্রম মনিটরিং এর জন্য প্রত্যেক বিক্রয় কেন্দ্রে একজন করে ট্যাগ অফিসার সার্বক্ষণিক অবস্থান করছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি)গণ বিক্রয় কার্যক্রম নিয়মিত পরিদর্শন করে এবং সেবাগ্রহীতার সাথে কথা বলেন।

 

পণ্য কিনতে আসা ভেন চালক শাহাবুদ্দিন (৫৫) বলেন, এই উচ্চমূল্যের বাজারে কম দামে তেল, ডাল , পেয়াজ, চিনি কিনতে পেরে আমাদের অনেক উপকার হয়েছে। এর থেকে বেঁচে যাওয়া অর্থে বাসায় কিছু সবজি ও মাছ কিনতে পারি।

কোদালপুরের নদী ভাঙ্গা ও স্বামীহারা রুমা বেগম (৭২) বলেন, এখনে লাইন ধরে পণ্য কিনতে কষ্ট হলেও খরচ বাচানোর জন্য আসি। আমাদের জন্য চিন্তা করার জন্য শেখের বেটিকে অনেক দোয়া করি।

 

আজ নলমুড়ি ইউনিয়নে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা হয় উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুজন দাশ গুপ্ত এর সাথে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনা হলো টিসিবির পণ্য বিক্রয় কঠোরভাবে মনিটরিং করতে হবে। যাতে কোন অনিয়ম না হয় এবং কার্ডধারী নিম্ম আয়ের কোন ব্যক্তি যাতে বাদ না পরে। তাই আমরা নিয়মিত বিক্রয় কার্যক্রম পরিদর্শন করি এবং কার্যক্রম যাচাই-বাছাই করে দেখি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাফী বিন কবির বলেন, টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। ডিলারদের বলে দেয়া হয়েছে, সামান্যতম অনিয়মিতও সহ্য করা হবে না। উপযুক্ত ব্যক্তির হাতে পণ্য তুলে দেয়া আমাদের লক্ষ্য।

 

জেলা প্রশাসক শরীয়তপুর মো: পারভেজ হাসান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুসারে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শরীয়তপুরে কঠোর মনিটরিং এর মধ্যে চলমান রয়েছে।  নিম্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ যাতে ঈদে খাবারের অভাবে না ভোগে তার জন্য সরকার টিসিবির পণ্য ভুর্তকি মূল্যে বিক্রয় করছে এক কোটি পরিবারের কাছে। যাদের আয় কম তাদের জন্য ভিজিএফ এর চাল বিনামূল্যে বিতরণ   কার্যক্রম চলমান রয়েছে।  বিশ্ব অর্থনীতির এই মন্দা পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিম্ম আয়ের মানুষের  মুখে খাবার তুলে দেয়ার যে চ্যালেঞ্জ নিয়েছে তা বাস্তবায়নে আমরা বদ্ধ পরিকর।

ঈদের আগ পর্যন্ত ১০০ টাকা লিটার সয়াবিন তেল দুই কেজি, ৭০টাকা কেজি চিনি এক কেজি এবং ৭০ টাকা কেজি মসুর ডাল দুই কেজি করে কিনতে পারছে নিম্ম আয়ের এক কোটি পরিবার। ঈদের আগে এই কার্যক্রম বাজার মূল্যের লাগাম টেনে ধরতে পারবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা।