জিটুজি প্রকল্পে কালবিলম্ব বা অবহেলা করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী

লেখক:
প্রকাশ: জুন ৬, ২০২৩

বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের (জিটুজি) উদ্যোগে বিভিন্ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (৬ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সভাপতিত্বকালে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।

বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারত ও চীনের মতো বিভিন্ন দেশের সঙ্গে জিটুজি প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার ওপর জোর দিয়েছেন। কারণ, ওইসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি (লাইন্স অব ক্রেডিট) রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এ বিষয়ে কালবিলম্ব বা অবহেলা করা যাবে না। কারণ, এসব উদ্যোগ বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়াবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী পরিকল্পনা কমিশনকে বৈদেশিক অর্থায়নের প্রকল্পগুলো অগ্রাধিকার দিতে বলেছেন।

১১ হাজার কোটি টাকার ১৮ প্রকল্প

এম এ মান্নান বলেন, আজকের একনেক সভায় মোট ১১ হাজার ৩৮৭ দশমিক ৯১ কোটি টাকা ব্যয়ের মোট ১৮টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, মোট প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অংশ থেকে ৭ হাজার ৪৪৫ দশমিক ৩৪ কোটি টাকা, সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৮০ দশমিক ৭৮ কোটি টাকা এবং বাকি ৩ হাজার ৮৬১ দশমিক ৭৯ কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা হিসেবে আসবে।

১৮টি অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ৯টি নতুন ও ৯টি সংশোধিত প্রকল্প। এছাড়া বৈঠকে একটি প্রকল্পের ব্যয় না বাড়িয়ে সময়সীমা বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সব ক্ষেত্রে কঠোরতা বজায় রাখতে ও এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রেখে দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আবারও নির্দেশ দিয়েছেন।

সভার শুরুতেই একনেক বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যে আগামী অর্থবছরের জন্য এত ‘চমৎকার’ বাজেট প্রণয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও অর্থ বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানায়। এম এ মান্নান বলেন, প্রকল্প অনুমোদন প্রক্রিয়ায় সরকার আরও কঠোর হবে এবং অনুমোদন দেওয়ার আগে প্রকল্প প্রস্তাব গভীরভাবে পর্যালোচনা করা হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রণোদনার পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়ে সরকার এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। তিনি বলেন, যদিও কিছু বেসরকারি ব্যাংক রেমিট্যান্স পাঠাতে সরকার নির্ধারিত আড়াই শতাংশের বাইরে কিছু বাড়তি প্রণোদনা দিচ্ছে। তবে এই হার বাড়ানোর বিষয়ে সরকার এখনও কোনও সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেয়নি।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সরকারের বিপুল আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে যে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে আগামী সাধারণ নির্বাচনে ভোট চাইতে সরকার দৃঢ় মনোবল নিয়ে ভোটারদের কাছে যেতে পারবে।