দেবোত্তর সম্পত্তি বিক্রি, দুদকের নোটিস

লেখক:
প্রকাশ: মে ২৫, ২০২৩

শরীয়তপুর সদর উপজেলায় শ্রীশ্রী শ্যামসুন্দর জিউ মন্দিরের (পালং হরিসভা জেলা কেন্দ্রীয় মন্দির) দেবোত্তর সম্পত্তি বিক্রির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক সভাপতি বিমল কৃষ্ণ অধিকারি ও সাধারণ সম্পাদক গৌর চাঁন বনিককে নোটিস দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নোটিসে তাদের আগামী ৬ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় মাদারীপুরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আতিকুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘দুদকে অভিযোগ এসেছে, আইনবহির্ভূতভাবে মন্দিরের দেবোত্তর সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য অভিযুক্তদের তলব করা হয়েছে।’

এর আগে ২১ মে আতিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এ নোটিস পাঠানো হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার পালং এলাকায় শ্রীশ্রী শ্যামসুন্দর জিউ মন্দিরে স্থানীয় গোপি দেবনাথ নামে এক ব্যক্তি ১৯৭০ সালে ২ একর ৪৪ শতাংশ জমি দান করেন। জমিটি মন্দির থেকে ৫০০ মিটার দূরে ঢাকা-শরীয়তপুর সড়কের পাশে। এরপর ওই জমি দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে নথিভুক্ত হয়। ২০১৪ সালে মন্দিরের তৎকালীন কমিটির সভাপতি বিমল কৃষ্ণ অধিকারি ও সাধারণ সম্পাদক গৌর চাঁন বনিক ওই সম্পত্তি বিক্রির উদ্যোগ নেন। এরপর বিভিন্ন সময় ২০টি দলিলের মাধ্যমে ৫ কোটি ৮ লাখ ৫৮ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। কিন্তু তারা মন্দিরের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা জমা দেন। বাকি ২ কোটি ২৮ লাখ ৫৯ হাজার টাকার কোনাে হিসাব তারা মন্দিরে জমা দেননি।

ওই জমি ক্রেতাদের দলিল করে দেন বিমল কৃষ্ণ অধিকারি, গৌড় চাঁন বনিক ও মন্দিরের তৎকালীন সেবায়েত (পুরোহিত) বাদল চক্রবর্তী। গত বছর বাদল চক্রবর্তী মারা গেছেন। এরপরে পালং হরিসভার ওই সম্পত্তি বিক্রির বিষয়ে দুদক জানতে পারে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিমল কৃষ্ণ অধিকারি বলেন, ‘জমি বিক্রি করে আমরা ২ কোটি ৮০ লাখ টাকাই পেয়েছি। মন্দিরের সাধারণ সভায় রেজল্যুশন করে জমি বিক্রি করা হয়েছে, কোনো অনিয়ম হয়নি।’

অপর অভিযুক্ত গৌড় চাঁনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।