নওগাঁয় পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ

লেখক:
প্রকাশ: জুন ২১, ২০২৩

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে নওগাঁর নিয়ামতপুরে পশুর হাটে ইজারাদারদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। নিয়ামতপুরের ছাতড়াসহ অন্যান্য পশুর হাটে  ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সোমবার ছাতড়া হাটে প্রতি গরুর জন্য ৫০০ টাকার স্থলে ৮০০ টাকা এবং প্রতিটি ছাগল-ভেড়ার জন্য ১৫০ টাকার স্থলে ৪৭০ টাকা করে টোল আদায় করা হয়েছে। যা সরকার নির্ধারিত টোলের চেয়ে প্রতি গরু ৩০০ টাকা এবং প্রতিটি ছাগল-ভেড়া ৩২০ টাকা বেশি। হাটে গরু, ছাগল ক্রয় করে খাজনা’র টাকা দিতে গিয়ে সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠছে। গত দুই সপ্তাহে হাটে প্রায় এক হাজার পাঁচশত গরু ও দুই হাজার ছাগল বিক্রি হয়েছে। এসব গরু ও ছাগল থেকে অতিরিক্ত প্রায় ১০ লাখ ৯০ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে।

উপজেলার ভবানীপুরের মজনু ছাগল কিনতে এসেছেন। তিনি বলেন, আমি সাড়ে ৫ হাজার টাকা দিয়ে ছাগল নিয়েছি। অথচ খাজনা দিতে হলো ৪৫০ টাকা। সরকারের নির্ধারিত খাজনা ছাগল প্রতি ১৫০ টাকা থাকলেও ইজারদার অতিরিক্ত ৩০০ টাকা বেশি নিচ্ছে। যিনি বিক্রি করতে এসেছেন তার কাছ থেকে আরও ২০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।

উপজেলা প্রশাসনের হাটবাজার শাখা সূত্রে জানা যায়, প্রতি গরু ৫০০ টাকা ও প্রতিটি ছাগল-ভেড়ার জন্য ১৫০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়। গবাদিপশুর ক্ষেত্রে শুধু ক্রেতা টোল দেবেন। শুধু ক্রেতার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার নিয়ম থাকলেও ছাতড়া হাটের ইজারাদারের লোকজন বিক্রেতাদের কাছ থেকেও গরু প্রতি ১০০ টাকা এবং ছাগল ও ভেড়া প্রতি ২০ টাকা আদায় করছেন।

ছাতড়া হাটের ইজারদারের প্রতিনিধি বলেন, আমি সরকার নির্ধারিত খাজনায় আদায় করছি। তবে ঈদের কারণে একটু বেশি আদায় করা হচেছ। কারণ হাটটি অনেক টাকায় ইজারা নেওয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমতিয়াজ মোরশেদ বলেন, অতিরিক্ত খাজনা আদায় বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।

নওগাঁ জেলা প্রশাসক খালেদ মেহেদী হাসান বলেন, বিষয়টি নজরে এসেছে। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।