বরিশালে ১২২ কেন্দ্রের ফল: নৌকা ৮৪৪৬২, হাতপাখা ৩২৫৯২

লেখক:
প্রকাশ: জুন ১২, ২০২৩

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়ে পথে রয়েছে নৌকা। ইতোমধ্যে ১২২ কেন্দ্রের ফলাফলে বিস্তর ব্যবধানে এগিয়ে আছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী।

এ নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র ১২৬টি। এর মধ্যে ১০৮ কেন্দ্রের ফলাফল অসমর্থিত সূত্রে পাওয়া গেছে। এতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৪৬২ ভোট। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ৫৯২ ভোট।

এর আগে সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে টানা ভোটগ্রহণ। ভোট নেয়া হয়েছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে)। নির্বাচন নিয়ে তৎপর ছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন অফিসে বসে সিসি ক্যামেরায় ভোট পর্যবেক্ষণ করা হয়।

বরিশালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া তার গাড়ি ভাঙচুর ও কর্মীদের ওপরও হামলারও অভিযোগ তোলা হয়। একইসঙ্গে কারচুপি, দলীয় এজেন্টকে ঢুকতে না দেয়া, কেন্দ্র দখলসহ নানা অভিযোগ করেছেন হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির মিডিয়া সেলের সদস্য কেএম শরিয়তুল্লাহ।

অন্যদিকে বরিশালে হাতপাখার প্রার্থীর লোকজন নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের মারধর, ভোট কেন্দ্রে আসতে বাধা ও ভোট দিতে আসা নারীদের ধর্মীয়ভাবে বুঝিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে নিষেধ করাসহ কয়েকটি অভিযোগে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন নৌকা প্রতীকের প্রধান এজেন্ট আফজালুল করিম।

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের ওপর হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

অপরদিকে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এজেন্টদের ঢুকতে না দেয়ার অভিযোগ করেছেন টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী কামরুল আহসান রুপন।

বরিশালে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম ছাড়াও জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস, জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু, টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন, হাতি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান ও হরিণ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী হোসেন হাওলাদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

৩০টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৯ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ১০টি পদের বিপরীতে ৪২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১২৬টি। বরিশালে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন এবং নারী ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন।