ভারত বাংলাদেশ বেনাপোল সিমান্ত পর্যটকদের জন্য এক ফাঁদ

লেখক:
প্রকাশ: জুলাই ২৪, ২০২৩

ভারত বাংলাদেশ বেনাপোল সিমান্ত দিয়ে ভারত যেতে ,ডলার ইনডোস না থাকলে উপটৌকন,ভারতীয় মুদ্রা সাথে নিলে, ভারতীয় ইমিগ্রেশন পার হলে, গার্ড ও চেকার কর্মিরা রেখে দিচ্ছে ভারতীয় সকল মুদ্রা। ফিরতি পথে লাইনের লম্বা ধারাবাহিকতায় প্রথমেই পড়তে হয় দালালের হয়রানি, এরপর ভারতীয় ইমিগ্রেশন এসে, ইমিগ্রেশন কতৃপক্ষের হাতে পাসপোর্ট দিলে ব্যাক শিল দিয়ে বই তাচ্ছিল্য করে সুরে ফেরত দেওয়া,এরপর চেকের নামে মেশিনে লাগেজ দেওয়ার পরে তা খুলে ছড়ায়ে ছিটায়ে অসম্মান করার সাথে সাথে খারাপ ব্যাবহার অন্যাথায় রুপি বা টাকা দিয়ে নিজেকে হয়রানি থেকে বাচিয়ে কোন মতে বাংলাদেশ সিমান্তে পৌছানোর পরে, বর্ডার গার্ডের চেক ও তল্যাশি এরপর বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন পৌছানো মাত্রই, সিভিলে থাকা ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে, ফিরে আসার শিল নিতে গেলে, বাহিরে থাকা সিভিল কর্মিরা চেয়ে নিচ্ছেন টাকা,না দিলে করছেন খারাপ ব্যাবহার।এরপর আবার কাস্টমস কর্মকর্তাদের লাগেজ বা ব্যাগ মেশিনে চেক তারপর সন্দেহের প্রয়োজনে বিবস্ত্র করে অনুসন্ধান, নয়তো টাকা দিয়ে সেখান থেকে পরিত্রান।এর পর একটু সামনে এলেই আবার চেক ও হয়রানি একি উপায়ে।বর্ডারদিয়ে ফিরত আসতে বাংলাদেশ ও ভারতে ৫ বার লাঞ্চনার শিকার হতে হয়।অথচো যারা অবৈধভাবে ব্যাবসা করে তাদের রয়েছে উভয় পাশে কারসাজি যে কারনে তারা থাকে জামাই আদরে, যা নিয়ে বিস্তারিত থাকবে পরবর্তী সময়ে।

গত ২১ জুলাই সবার মতো আমিও উৎসুক ভারতে মানে কোলকাতা যেতে,শরীয়তপুর হতে পরিবহন যোগে বেলা ২টায় পৌছালাম বেনাপোল সীমান্তে।এরপর যশোহর মানি – এক্সেন্স হতে ১০হাজার টাকা দিয়ে রুপি করে নিলাম ১০০ টাকায় ৭৩.২০ রপি হারে।এরপর ব্যাংকে ভ্রমন চার্জ দিলাম ১হাজার ৫০ টাকা।এর পর ভিতরে প্রবেশ করে , ইমিগ্রেশনে বই জমা দিলাম, পাসপোর্টে ডলার ইনডোস করা নেই কেনো জিজ্ঞেসা করলেন,বললাম ভিসা করতে প্রয়োজন হয় নি,বললো রুপি বা ডলার নিয়েছেন বললাম রুপি নিয়েছি,বাংলাদেশ বহিরাগমন শিল নিয়ে একটু হেটে চলে গেলাম ভারত সিমান্তে, এরপর কোথায় থাকবো নাম ঠিকানার বিবরন দিয়ে পাসিং ফরম পুরন করে একটু সামনে যেতেই, বি এস এফ সদস্যরা মেশিনে ব্যাগ চেক করলো সাথে দেখে নিলো শরীরো, ইমিগ্রেশনে বই জমা দিলাম, ফিংগার ও চোখের ছাপ নিয়ে প্রবেশ অনুমতি দিলো।একটু সামনে এগুতেই পূনরায় লাগেজ চেকিং এরপর একটু সামনে যেতেই একদল লোক সাদা ও সবুজ পোশাকে থাকা সদস্যরা দাড়করায়ে জিজ্ঞেসা করলো কতোরুপি এনেছি, বললাম তা বের করতেই, সাইনবোর্ডে পড়তে বললো, যেখানে লেখা রুপি নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ, রুপি গুলো রেখে দিলো, তাদের কথায় বুঝতে বাকি রইলো না এই দলটি বাংলাদেশ থেকে ফোন পেয়েছে।

গত ২৩ জুলাই আবার ফেরত আসতে সকাল ৬টায় বেনাপোল বন্দরে এসে লাইনে দাড়ালাম। এখানে স্থানীয় কিছু দালাল বসে থাকে, মালামাল পার করে দিবে এটা বলে লাগেজ প্রতি ২০০ রুপি হতে ১৫০ রুপি।এই লাইন পার হয়ে ভারতীয় ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট জমা দিলাম, ক্যামেরায় চোখের ছবি নিয়ে ব্যাকসিল দিয়ে,পাসপোর্টটি ছুরে দিলেন,যা একজন বাংলাদেশি হিসাবে অপমানের মনে হলো।সেখান থেকে বের হলে লাগেজ মেশিনে চেক করলো ও আমাকে কেবিনে ডাকলো,জিজ্ঞেসা করলো আমার ব্যাগে কি, বললাম বাসমতী চাল সহ খাবার সামগ্রী, তারপরো সব নিচে নামীয়ে ছড়ায়ে ছিটায়ে ফেলে দেখলো,এরপর তা না ঠিক করে দিয়ে বললো চেক হয়ে গেছে এবার যেতে পারো।অগ্যত মালামাল গুলো তুলে বের হয়ে বি এস এফ এর সামনে দিয়ে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন পৌছালাম,পৌছা মাত্রই বিজেপি সদস্যরা মেশিনে সব চেক করলো, এরপর সামনে এসে ইমিগ্রেশন পূর্বে আরো একবার চেক এর সম্মুখিন হলাম, এরাও পারলে আমার জামাকাপড় খুলে দেখতো। এর পর প্রবেশ শিল নিতে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনে পৌছানো মাত্র পুলিশবক্সের আয়নাঘরের সাথে সিভিলে থাকা একজন লোক পাসপোর্ট চাইলো সাথে ৫০০টাকা,দিতে অস্বিকার করায় পাসপোর্ট রেখে দেওয়ার হুমকি অগ্যতা ১০০ টাকা দিলে বইটি ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে দেয় ও ব্যাক শিল দিয়ে পুলিশ সদস্য আমার হাতে বইটি তুলে দেন।এরপর সামনে আসতেই কাস্টমস কতৃপক্ষের তল্লাশি, সরাসরি পাসপোর্ট চাইলো, এরপর বললো কিছু টাকা দাও, দিতে অস্বিকার করায় ব্যাগে কি আছে জিজ্ঞেস করলো বললাম,কি করি জিজ্ঞেসা করলো ও বাড়ি কোথায়, বলার পরে যখন শুনলো সাংবাদিক মুখকানি ফ্যাকাশে করে চেয়ে রইলো, আর তার পাশে থাকা আরেকজন অন্য একজন পর্যটোকের লাগেজ ছুরে মেরে তাকে ধাক্কা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ভিতরের দিকে, দেখে অবাক হলাম,অফিসারের কথায় পুনরায় তার দিকে চাইতেই পাসপোর্ট হাতে দিয়ে বললো, ঠিক আছে।এর পরে একটু সামনেই পুলিশ চেক করছিলো আমাকে কিছু বললো না।

সমস্ত আনন্দটা মাটি হয়ে গেলো এদের আচরনে।যারা বলবেন কালোবাজারি ও অবৈধ ব্যাবসায়ি ধরতে এটা করবেই।আমি তাদেরকে বলবো এটা ঠিক নয়, কারন এরা আসে জামাই আদরে।সে সকল তথ্য নিয়ে,আলোচনা থাকবে পরবর্তী লেখায়।

জাজিরা সময়