মাদারীপুরের গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে প্লাষ্টিকের বস্তার ভিতরে মিললো ১০ কেজি গাঁজা, আটক-২

লেখক:
প্রকাশ: জুলাই ২৪, ২০২৩

মাদারীপুর সদর উপজেলায় ১০ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
সোমবার (২৪ জুলাই) সকালে মাদারীপুর সদর খাগদী বাস স্ট্যান্ড এলাকার থেকে আটক করা হয়েছে এ মাদক ব্যবসায়ীকে।

আটককৃতরা হলেন, রাস্তি ইউনিয়নের রাস্তি এলাকার মৃত্যু রশিদ মাদবরের ছেলে পান্নু মাদবর(৭৬),ও পশ্চিম রাস্তি এলাকার এখলাস সরদারের ছেলে রাজিব সরদার(২২)।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়,
মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের রাস্তি এলাকার মৃত্যু রশিদ মাদবরের ছেলে পান্নু মাদবর(৭৬),ও পশ্চিম রাস্তি এলাকার এখলাস সরদারের ছেলে রাজিব সরদার(২২) দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসা করে আসছে। মাদারীপুর সদর উপজেলার শতাধিক খুচরা মাদক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাদক সরবরাহ করে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সোমবার সকালে খাগদি বাস স্ট্যান্ড এলাকার একটি পরিত্যক্ত রান্না করে গাজা বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় মাদারীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে এসআই কাশেম খান ও এসআই রায়হান সিদ্দিক শামীমের নেতৃত্বে অভিযান চালায়। পরে খাগদী বাসস্ট্যান্ড এলাকা পরিত্যক্ত রান্না ঘর থেকে প্লাষ্টিকের বস্তার ভিতরে নীল রঙ্গের পলিথিনে মোড়ানো (১০টি প্যাকেটে) ১০ কেজি গাঁজা এবং একটি ডিজিটাল পরিমাপক যন্ত্র, গাজা বিক্রির নগদ ৯ হাজার ৮শত ১৫ টাকা উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এদিকে ঝিকরহাটি এলাকায় এনামুল দর্জি নামের এক মাদক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি করে ৫০০ গ্রাম গাঁজা পাওয়া যায়।পরে সে পুলিশে টের পেয়ে পালিয়ে যায়।

উপজেলার খাগদী এলাকা থেকে সকালে এসআই কাশেম খান ও রায়হান সিদ্দিক শামীম নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী পান্নু ও রাজিবকে আটক করেন। পরে তাদের কাছ থেকে ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে মাদারীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ( ডিবি)র অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ এইচ এম সালাউদ্দিন আহমেদ জানান জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে মাদারীপুরে ,মাদক ব্যবসায়ী গাঁজা ব্যবসায়ী গোয়েন্দা পুলিশের একটি চৌকস দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্লাষ্টিকের বস্তার ভেতরে গাঁজাসহ দুই জন কে আটক করে।মাদারীপুর গোয়েন্দা পুলিশের এমন অভিযান সব সময় চলমান থাকবে। পান্নু মাদবর ও রাজিব নামে দুই গাঁজা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। এ বিষয়ে ১৯৯০ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা হয়েছে। অপর আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।