যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল ” বি এম মোজাম্মেল

লেখক:
প্রকাশ: আগস্ট ১৬, ২০২৩

জাজিরায় ১৫ আগস্টের শোক দিবস উপলক্ষে শোক সভা।

বুধবার (১৬ আগস্ট) শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা ভবনে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত করা হয়।

উক্ত আলোচনা শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পাঁচ বারের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু তার জন্মের আগমনী বার্তায় একটি পরাধীন জাতিকে স্বাধীন করার বার্তা নিয়ে এসেছিলেন।

তার জন্ম না হলে লাল-সবুজের পতাকা আর বাংলাদেশ পেতাম না, এটা সর্বজন স্বীকৃত। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে একটি স্বাধীন পতাকা, স্বাধীন রাষ্ট্র এবং মুক্ত স্বাধীন জাতির পবিত্র সংবিধানও এ জাতি কখনো পেতো বলে আমি মনে করি না। হাজার বছরের পরাধীন বাঙালির স্বপ্নের যে স্বাধীনতা, মুক্তির গান এবং বিশ্ব মানচিত্রে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের আবির্ভাব কেবল স্বপ্নই থেকে যেতো চিরকাল। মহান সৃষ্টিকর্তা এই পৃথিবীতে বঙ্গবন্ধুকে পাঠিয়েছিলেন মুক্তির দূত হিসেবে। বিশ্ব বিধাতা যাকে ভালোবাসেন তাকে দিয়েই যুগে যুগে শোষিত, নিপীড়িত, বঞ্চিত মানুষের কণ্ঠস্বর হিসেবে, জাতির যোগ্য প্রতিনিধি হিসেবে পৃথিবীর আলো দেখান।

বঙ্গবন্ধু এমনই একজন নেতা যিনি কেবল বাঙালি জাতিকেই স্বাধীন করেননি, বিশ্ববাসীকে শোষিত, বঞ্চিত মানুষের মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু বাংলার প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে একটি অবিনাশী চেতনা। এই চেতনা কখনো, কোনোদিনও মুছে ফেলা যাবে না।

একটি জাতির দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম আর বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে প্রয়োজন হয়, একজন যোগ্য নেতার। আমাদের সেই শূন্যতা ছিল। এ জাতি মনে প্রাণে যখন শোষণ, নিপীড়ন আর বঞ্চনার হাত থেকে বিশ্ব বিধাতার কাছে মুক্তি চেয়েছে, কেউ পথ দেখাতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুর আগে অনেক নেতাই স্বপ্ন দেখিয়েছেন। মুক্তির গান শোনানোর চেষ্টা করেছেন। কোনো নেতাই পরাধীন এই জাতিকে চূড়ান্ত মুক্তির পথ দেখাতে পারেননি। কারণ, রাজনৈতিক গতিপথ তারা বুঝতে পারেননি।

তিনি আরও বলেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধুর সেই খুনিরাই শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। তার ওপর বারবার আক্রমণ করে আসছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে, তাহলে আওয়ামী লীগকে কেউ প্রতিহত করতে পারবে না।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শামসুল হক খান এর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার ও জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক সরদার, আওয়ামী লীগের সদস্য শরীয়তপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল, মুক্তিযোদ্ধা জানে আলম মুন্সী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব রাজ্জাক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক আকন, জাজিরা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন আকন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পারভিন আক্তার, জাজিরা পৌরসভার সাবেক মেয়র আবুল খায়ের ফকির প্রমুখ।