রাজশাহী বোর্ডে পাসের হারে সেরা বগুড়া

লেখক:
প্রকাশ: এপ্রিল ১৬, ২০২৩

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে এসএসসির ফলাফলে পাসের হারের দিক থেকে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বগুড়া জেলা। জিপিএ–৫ পাওয়ার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে জেলাটি। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৭ হাজার ৪৮৪ জন। পাস করেছেন ১ লাখ ৪৩ হাজার ৪৮৯ জন। পাসের হার ৯৭ দশমিক ২৯ শতাংশ।

এর মধ্যে বগুড়ায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৭ হাজার ২৫৭। পাস করেছেন ২৬ হাজার ৭৬২ জন, পাসের হার ৯৮ দশমিক ১৮ শতাংশ। জেলাটিতে জিপিএ–৫ পেয়েছেন ৮ হাজার ২৯১ জন।

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসিতে পাসের হার ও জিপিএ–৫ দুই সূচকেই ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে। একই অবস্থা বগুড়া জেলায়ও। জেলায় মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১২ হাজার ৮১৩ জন, পাস করেছেন ১২ হাজার ৬৬৩ জন। পাসের হার ৯৮ দশমিক ৮৩। মেয়েরা এবার জিপিএ–৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ৪১৩ জন।

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সূত্রে জানা যায়, এই বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩২ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী। এই তালিকায় শীর্ষে রাজশাহী জেলা, এ সংখ্যা ৯ হাজার ১৬৯। ৮ হাজার ২৯১ জনের জিপিএ–৫ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে বগুড়া।

ছেলেরা পিছিয়ে পড়ার নেপথ্যে ‘প্রযুক্তিতে আসক্তি’

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে ও বগুড়া জেলায় পাসের হার ও জিপিএ–৫–এর সূচকে ছেলেদের পিছিয়ে থাকার কারণ জানতে চাইলে বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী প্রথম আলোকে বলেন, মেয়েরা বেশি জীবনে বড় কিছু হওয়ার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আকাশছোঁয়া স্বপ্ন দেখে, ফলে তারা পড়ালেখায় বেশি মনোযোগী। মা-বাবা ও অভিভাবকের অবাধ্য হয় না, আনুগত্য থেকে মন দিয়ে পড়াশোনা করে। প্রযুক্তিতে আসক্তি কম, ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অতিমাত্রায় সময় অপচয় করে না। সময়ের মূল্য বুঝে যখনকার পড়া তখনই পড়ে, কাজ ফেলে রাখে না।

শাহজাহান আলীর মতে, ছেলেরা জীবন নিয়ে ‘সিরিয়াস’ নয়, তেমন কোনো স্বপ্ন নেই। মা-বাবাকে ফাঁকি দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় সময় নষ্ট করে, প্রযুক্তিতে অতিমাত্রায় আসক্ত হয়ে পড়ে, ফেসবুকে বেশি সময় অপচয় করে। পড়ালেখায় ফাঁকি দেয়।

বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়া সাবরিন সামান্তা বলেন, মেয়েরা নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশি মনোযোগী থাকে। ভবিষ্যতের লক্ষ্য অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে পড়াশোনা করে। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডাবাজিতে সময় নষ্ট করে না, প্রযুক্তিতে অতিমাত্রায় আসক্ত হয় না। এ কারণে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের ফল ভালো।