শরীয়তপুরের জাজিরায় চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা

লেখক:
প্রকাশ: আগস্ট ২৪, ২০২৩

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার ডুবিসায়বর এলাকায় রাকিব মাদবর (২২) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে জাজিরা থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে জাজিরা থানায় উক্ত মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত রাকিব মাদবরের ভুক্তভোগী শিশুটির বাড়ির পাশেই বাড়ি। রাকিব মাদবর স্থানীয় রাজা মিয়া মাদবরের ছেলে। ১৩ বছর বয়সী ভুক্তভোগী ঐ শিশুটি চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। শিশুটি স্কুলে যাওয়ার সময় প্রায়সই অভিযুক্ত রাকিব মাদবর তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দিতে থাকে।

সবশেষ, গত (১১ আগস্ট) সোমবার দুপুরে রাকিব মাদবরের বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ভুক্তভোগী শিশুটিকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে অভিযুক্ত রাকিব মাদবর। ধর্ষণের পর ভুক্তভোগী ঐ শিশুটি এই ঘটনা কাউকে যাতে না বলে সেই জন্য তাকে প্রাণনাশসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করে আসামি রাকিব।

ঘটনা জানাজানি হলে এক পর্যায়ে জাজিরা প্রেসক্লাবের স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে জাজিরা থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে এবং ভুক্তভোগী পরিবারটি জাজিরা থানায় এসে উক্ত মামলাটি দায়ের করে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে ভুক্তভোগী শিশুটিকে শারীরিক পরিক্ষার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে জাজিরা থানা পুলিশ।

এদিকে অভিযুক্ত রাকিব মাদবর ঘটনাটি অস্বীকার করলেও তার বাবা স্থানীয় গরু ব্যবসায়ী রাজা মাদবর এবং তার স্ত্রী বলেন, আমার ছেলে যদি এই ধরনের কাজ করে থাকে তাহলে আমার ছেলের সাথে এই মেয়ের বিয়ে দিতে চাই আমরা। এছাড়া আমাদের আর করার কিছুই নেই। তবে ভুক্তভোগী পরিবারটিকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

তবে অভিযুক্ত শিশুটির বাবা তার মেয়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়া ছাড়াও বিভিন্ন কারণে অভিযুক্ত রাকিবের সাথে তার মেয়েকে বিয়ে দিবেননা বলে জানান। এছাড়া আসামি রাকিব মাদবর মাদকাসক্ত দাবি করে তিনি বলেন, এই ছেলে ও তার পরিবার পরে আমার মেয়েকে মেরে ফেলবে। তাই আমি তার সাথে আমার মেয়েকে বিয়ে দিবোনা। আমি রাকিব মাদবরের কঠিন বিচার চাই।

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমরা অভিযোগ পাওয়া মাত্রই অভিযুক্ত রাকিব মাদবরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নিয়ে মেয়েটিকে শারীরিক পরিক্ষার জন্য পাঠিয়েছি। আসামিদের গ্রেফতার করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় যেকোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।