শরীয়তপুরের জাজিরায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

লেখক:
প্রকাশ: জুন ২৬, ২০২৩

মুসলমানদের দরজায় কড়া নাড়ছে অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। আর মাত্র কয়েকটিন পর উদযাপিত হতে যাচ্ছে কোরবানির ঈদ। ঈদকে ঘিরে এরই মধ্যে জমে উঠছে জাজিরার বিভিন্ন পশুর হাট। এর মধ্যে জাজিরার সবচেয়ে বড় পৌরসভা পশুর হাটে আসতে শুরু করেছেন ক্রেতারা। ক্রমেই জমে উঠছে বৃহৎ এই গরুর হাট।

সোমবার (২৬ জুন) জাজিরা পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, হাটের স্থায়ী ও অস্থায়ী দুই অংশই কোরবানির পশুতে ভরে গেছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় জমজমাট হয়ে উঠছে হাট প্রঙ্গণ।

জাজিরা ও শরীয়তপুরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট বড় পশু নিয়ে এসেছেন ব্যাপারীরা। গরুর পাশাপাশি ঢুকছে ছাগলও।

তবে বিক্রেতারা জানিয়েছেন এখনো বেশিরভাগ ক্রেতা বাজার যাচাই করতেই আসছেন। কাঙ্খিত পশুটি তারা যচাই বাছাই করেই কিনবেন।


ঈদের আগের দুইতিন দিন হাট পুরোপুরি জমে উঠবে বলে আশা বিক্রেতা ও হাট কর্তৃপক্ষের।হাটের ব্যবস্থাপক নাসির উদ্দিন খান বলেন, আজ থেকে হাট জমে উঠতে শুরু করেছে। বেচাকেনাও ধীরে ধীরে বাড়ছে। ঈদ যত এগিয়ে আসবে, বেচাকেনাও তত বাড়বে।


তিনি জাজিরা সময় কে বলেন, এখন পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার পশু এসেছে। আরও পশু আসছে। আশা করছি এবার গতবারের তুলনায় বেশি পশু বিক্রি হবে। হাটের প্রস্তুতি পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে। হাসিল ঘর, আনসার সহ হাটের জন্য একটি প্রধান চেকপোস্ট রয়েছে। পাশাপাশি দুই শিফটে স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি আরও বলেন, হাসিল ঘরের পাশাপাশি আমাদের আরো লোক থাকবে। সেসব লোকের কাছে বা হাসিল ঘরে গিয়ে টাকা পরীক্ষা করেতে পারবেন। পশুর চিকিৎসায় জাজিরা উপোজেলা প্রশাসন ও জাজিরা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সকলের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসকসহ ব্যবস্থাপনা টিম থাকবে বলে জানাযায়।

কোরবানির পশু  বিক্রেতারা মো.সেলিম মিয়া জাজিরা সময় কে বলেন, হাটে বেচাকেনা শুরু হলেও পুরোপুরি জমতে দুই দিন সময় লাগবে। হাটে বড় এবং মাঝারি গরু বেশি এসেছে। সেগুলোই এখন বিক্রি হচ্ছে। ছোট গরু এখনো তেমন আসেনি। শেষের দিকে ছোট গরু এলে সেগুলোই বেশি বিক্রি হবে।

বিক্রেতা মোঃ ইসমোদ্দোহা শুভ  জাজিরা সময় কে বলেন আমি ১ট গরু নিয়ে এসেছি নাম রেখেছি প্টু। আজকেই বিক্রি করার চিন্তা রয়েছে । দাম চেয়েছি ৫ লাখ ক্রেতারা ৩৫০ হাজার বলেছে। এবার গরুর দাম বেশি, তাই এখনো বেচাকেনা পুরোপুরি জমেনি। মানুষ ভাবছে শেষেরদিকে দাম কমবে। কিন্তু এবার শেষের দিকে গরুর সংকট হতে পারে। তখন দাম উল্টো আরও বাড়তে পারে।

ব্যাপারী আব্দুল জলিল হোসেন বলেন, হাটে অনেকে ক্রেতা এলেও বেশিরভাগ দেখতে এসেছেন। গরুর দাম শুনলেও নিজেরা বলছেন না। যাদের রাখার জায়গা আছে তারাই এখন গরু কিনছেন। যাদের জায়গা নেই তারা ঈদের এক-দুই দিন আগে কিনবেন।

লাউখোলা থেকে  হাটে এসেছেন ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন । জাজিরা সময় কে তিনি বলেন, হাট মোটামুটি জমে উঠেছে। তাই চলে এলাম গরু কিনতে। পছন্দ হলে কিনে নিয়ে যাবো। তবে এবার গরুর দাম বেশি।

উত্তর বাইকশা থেকে এসেছেন শামিম মাদবর । তিনি বলেন, আজকে বাজার পরিস্থিত দেখতে এসেছি। বাসায় রাখার সমস্যা, আজকে কিনবো না। ঈদের আগে কিনবো এখন দেখে যাচ্ছি৷ মনে হচ্ছে এবার দাম তুলনামূলক বেশি। দাম যাই হোক, কোরবানিতো দিতে হবে।

জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.কামরুল হাসান সোহেল জাজিরা সময় কে বলেন, গত বছরের থেকে এবার পশুর সংখ্যা বেশি। স্থানীয় ও খামারিদের কাছে থাকা কুরবানিযোগ্য পশু মিলিয়ে চাহিদা অনেকটাই পূরণ হয়ে যাবে। আশা করছি, আমাদের চাহিদা পূরণ করে পশু দেশের অন্যান্য জায়গায় যাবে বিক্রির জন্য। গরুর মূল্য বাজারের ক্রেতাদের ওপর নির্ভর করবে বলে জানান তিনি।