শরীয়তপুরের জাজিরায়” সাপে কামড়ানো বৃদ্ধাকে নেওয়া হলো ওঝার কাছে, পরে মৃত্যু।

লেখক:
প্রকাশ: জুন ৪, ২০২৪

প্রতিদিনের ন্যায় রান্না ঘরে পরিবারের জন্য রান্না করছিলেন রহিমা বেগম (৬২)। রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। একসময় তার বাম পায়ে কামড় দেয় বিষধর সাপ। তিনি চিৎকার দিয়ে উঠেন। স্বজনেরা ও আশপাশের লোকজন ছুটে এসে রহিমা বেগমকে  উদ্ধার করে স্থানীয় এক ওঝা আজিমউদ্দিন মোড়লের কাছে নিয়ে যান। পরে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পালেরচর ইউনিয়নের ইয়াসিন আকন কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া বৃদ্ধা রহিমা বেগম একই এলাকার নুর মোহাম্মদ তালুকদারের স্ত্রী।

নিহতের ছেলে রহমান তালুকদার জাজিরা সময়কে বলেন, আমার মা প্রতিদিনের মতই রান্নাঘরে কাজ করছিলেন। রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকায় তার বাম পায়ে সাপে কামড় দেয়। এরপর তার চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ওঝা আজিমউদ্দিন মোড়লের কাছে নেওয়া হয়। ওঝা তাকে ঝাড়ফুঁক দেন। এক পর্যায়ে আম্মার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে তাকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার জন্য বের হই। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই আম্মার কোনো সাড়াশব্দ পাচ্ছিলাম না। তারপর ও মনে হচ্ছিলো আমার মা বেচে আছেন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার মা’কে মৃত ঘোষণা করেন। 

তিনি আরও বলেন, সাপে কামড়ের সাথে সাথে আমরা যদি মা’কে ওঝার কাছে না নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতাম তাহলে হয়তো আমার মাকে বাচাতে পারতাম। 

এ ব্যাপারে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ কবির আলম জাজিরা সময়কে বলেন, সাপে কামড়ানো এক বৃদ্ধাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করি। তার বাম পায়ে সাপে কামড়ের ক্ষতস্থান দেখে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়ের কারনেই তার মৃত্যু হয়েছে।

জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান জাজিরা সময়কে বলেন, সাপের কামড়ে বৃদ্ধার মৃত্যুর বিষয়ে অপচিকিৎসা সংক্রান্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।