বিশেষ প্রতিনিধিঃ পলাশ খান
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা নির্বাচনের প্রচারণা ও নির্বাচনের মাঠ থেকে মোটরসাইকেল প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মাঠ ছাড়া করতে ও ভোটারদের মধ্যে ভয় ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করতে নির্বাচনী প্রচারণাস্থলের পাশে ককটেল বোমা বিস্ফোরনের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জাজিরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজী।
শুক্রবার (১৭ মে) বিকেল ৫টায় উপজেলার টিএন্ডটি মোড়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন ঐ চেয়ারম্যান প্রার্থী।
এসময় জাজিরা পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল হক কবিরাজ, বিকেনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস্কান্দার আলী ভূঁইয়া, পালেরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন ফরাজী, জাজিরা উপজেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সোহাগ বেপারী, জাজিরা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল বেপারীসহ সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যে ইদ্রিস ফরাজী বলেন, যারা এই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তারা জাজিরা বাসীর স্বপ্নকে ভঙ্গ করতে চায়। তাদের অতিদ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই।
কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মনে করেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা আমাদের পক্ষে জনসমর্থন দেখে পরাজয়ের ভয় পাচ্ছে এবং জাজিরার মানুষ যাদের সন্ত্রাসী হিসেবে চিনে তারাই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
এবিষয়ে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার সাদিয়া ইসলাম লুনা সংবাদকে বলেন, নির্বাচনী জনসভার পাশে বোমা বিস্ফোরণের বিষয়টি শুনেছি তবে কোন অভিযোগ পাইনি।
তিনি আরো বলেন, এসব জনসভার জন্য প্রশাসনের কাছ থেকে ২৪ ঘন্টা আগে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু ঐ জনসভার জন্য কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ককটেল বিষ্ফোরণের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে এবং ৬ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
